বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আ.লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালনে পাবনার সুজানগরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আয়োজনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন উপলক্ষে সুজানগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন অনুসারীরা পৃথক আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদে প্রথমে কেক কাটা শেষ করে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক নেতাকর্মীরা চলে যান।

পরে কেক কাটাসহ অন্য কর্মসূচি পালন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির আব্দুল ওহাব ও তার সমর্থকরা। এ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জ্বল।

অনুষ্ঠান শেষ করে কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আসন্ন শারদীয় দূর্গপূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।

নিজ কার্যালয়ে যাবার পথে লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের অনুসারী সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা কয়েকজনের টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে উস্কানিমূলক স্লোগান দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের অনুসারীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এ বিষয়ে কামরুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অনুষ্ঠান পালন শেষে নিজ ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে আমার ক্লিন ইমেজ নষ্ট করার জন্য এই অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন এলাকায় ছিলেন না। তবে, তার অনুসারীরা হামলার চেষ্টা করেছে বলে মনে করছি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের লোকজন হট্টগোল করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কেউ থানায় অভিযাগ দেয়নি।

সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের কর্মকাণ্ডে সুজানগরের কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনেও তারা এই বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েছে। একটা ইস্যু তৈরি করে কামরুজ্জামান উজ্জ্বলকে সবার কাছে হেয় করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ বলেন, ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, শুনেছি কামরুজ্জামান উজ্জ্বল বেশ কিছু মানুষকে চাকুরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ভাড়া দেননি। এ কারণে পাওনাদাররা পাওনা পরিশোধের দাবিতে তাকে ঘিরে রাখে। বিষয়টি উজ্জ্বল সাহেবের পার্সোনাল কারণে আমি এখানে কোন হস্তক্ষেপ করিনি। আর আমার কোনো অনুসারী কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.