শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

কালিহাতীতে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

সাইদুর রহমান সমীর, 
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাংবাদিক ও পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি ও জিম্মি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী। 
এ ঘটনায় আজ (১২ জুলাই) শনিবার দুপুরে কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার বাঁশী গ্রামের আব্দুল শেখের ছেলে মঞ্জু মিয়া তিনি বর্তমানে এলেঙ্গা বাজারে বসবাস করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৯ জুন এলেংগাতে একটি বাড়া বাসায় ওয়াজকরনী নামে এক যুবক আত্নহত্যা করে। একই বাসায় আমিও ভাড়া থাকি ঘটনার দিন দুপুরে আমি মেয়ে বাড়ী একই উপজেলা নরদহী গ্রামে যাই এখান থেকে ফিয়ে এসে শুনি সন্ধ্যার ছেলেটি আত্নহত্যা করেছে।
একই বাসা থাকার কারণে এক সপ্তাহ পর থেকে আমাকে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় ৩ জন কথিত সাংবাদিক মতিয়ার রহমান, মোতাবেক হোসেন, কেরামত  ও থানার এসআই মনসুর  মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। এরপর বাসায় আটকিয়ে  আমাকে মামলায় ফাঁসানো হবে ভয় দেখিয়ে আমার  পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করলে আমি ভয়ে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হই।  এবং সে সময় এলেঙ্গা পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হারুন -অর রশিদ মিনু ও যুবদলের সদস্য সচিব এডভোকেট আজগর আলী, এলেঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন ও আলম পুলিশের উপস্থিতিতে ৩৩ হাজার টাকা হারুন -অর রশিদ মিনু হাতে দেই। পরে বাকী ১৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলি। পরবর্তীতে ৯ জুলাই অবশিষ্ট ১৭ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, আমার কোনো অপরাধ নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ৩ জন সাংবাদিক পুলিশকে ব্যবহার করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় আমার পরিবারের নারীদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা আছে আমার দাবি  সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তার বোন রাজিয়া বেগম তিনিও অভিযোগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
কথিত সাংবাদিক মতিয়ার বলেন, আমার সাথে ওনার কোন প্রকার টাকা লেনদেন হয়নি, লেনদেন হবে এমন কিছু বলেনি,যদি কোন উপযুক্ত প্রমাণ থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, ঘটনা শুনেছি লেনদেনের বিষয়টি আমার সামনে হয়নি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার এসআই মনসুর এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের সাথে টাকা বিনিময় বিষয়টি আমি জানি না, নামধারী ওই তিন সাংবাদিক সাথে নিয়ে যাই। স্বাক্ষী হিসেবে আমি মঞ্জু মিয়ার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছি। এখানে আমার নাম বলে কেউ টাকা নিলে আমার কি করার আছে। আমাকে মঞ্জু কোন টাকা দেয়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Author:

TangailNews24 Advertisement Partnership