শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

টাঙ্গাইলে ৬০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো ৬০ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ টুটুল মিয়া নামক প্রবাসীর স্ত্রী সালমা আক্তার এক সন্তানসহ প্রেমিক আব্দুল কাদের নামক যুবকের সঙ্গে ভেগে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনার পর স্বামী টুটুল মিয়ার পরিবার থানায় মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার ২৮ দিনেও তাদের কোনো হদিস মিলেনি। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

টুটুল মিয়া জানান, প্রায় ১০ বছর পূর্বে মির্জাপুর উপজেলার মহদীনগর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের কন্যা সালমা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা পাঠান। এছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠান। তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার নরদানা গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

তার পাঠানো টাকা দিয়ে প্রেমিক কাদের মিয়ার বাড়িতে পাকাঘরসহ তাকে বরাঢী বাজারে ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দেন। কৌশলে তার জমানো সব টাকা নেওয়া শেষ হলে ৫ বছরের পুত্র সন্তান সালমানকে নিয়ে গত ১৮ মার্চ সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্ত্রী ও পুত্রকে হারিয়ে এবং তার টাকার শোকে তিনি এখন পথের ফকিরের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে উদ্ধার ও প্রেমিক অব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ পুলিশের কাছে কাছে তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় মামালার বাদী তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ভাই বিদেশ থাকায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। আমার ভাইয়ের প্রায় ৬০ লাখ টাকা ও ৫ বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক আব্দুল কাদের ও প্রেমিকা এক সন্তানের জননী সালমা আক্তারের মোবাইলে ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.