মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. শিপন ইসলাম (২১) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ছাব্বিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কলেজছাত্র শিপন ইসলাম উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরবিহারী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। সে ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিল।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- ঈমান আলীর ছেলে মনিরুজ্জমান (৪৮), হামিদের ছেলে হাবিবুর (২২), আইয়ুব আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০)। 
আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এরমধ্যে হাবিবুরসহ অন্যজন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অপর আহতদের মধ্যে মনিরুজ্জামান ও দুলাল হোসেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, গোবিন্দাসী থেকে একটি মোটরসাইকেল ভূঞাপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ছাব্বিশা এলাকায় পৌঁছলে ভূঞাপুর থেকে আসা অপর একটি মোটরসাকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এতে শিপনসহ দুই মোটরসাইকেল আরোহী ৫ জন আহত হয়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন নামে একজন পরীক্ষার্থী মারা যায়। প্রতিবেশি হ্যাপি আকন্দ জানান, শিপন ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিল। 

মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে পরীক্ষা দিতে ঘাটাইল জিবিজি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথেই ছাব্বিশা এলাকায় পৌঁছলে দুই মোটরসাইলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়ে শিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জুলফিকার হায়দার বলেন, আহত অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। 

পরে আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া আহত অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি জানা নেই এবং কেউ জানায়নি। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.