(নিজস্ব প্রতিনিধি): গত ৪বছর আগে স্বামীর মৃত্যুতে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে রাফেজার। চরম অর্থ অভাবে দিন কাটছে রাফেজার।
দরিদ্র পরিবারে প্রতিদিনের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সকাল থেকে মানুষের কাজ করে সংসারের ব্যয়-ভার বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে রাফেজা খাতুনের।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের -ওয়ার্ডের রামখা বাজারের উত্তর পাশে পৌরসভা সীমানা ঘেঁষে রাফেজার বাড়ি।রাফেজার স্বামী নুরুল ইসলাম কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৪বছর আগে মারা যায়।
নুরুল ইসলামের টানাপোড়েনের সংসারে মানুষের কাছে অর্থ সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করে এখন প্রায় নিঃস্ব। নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাফেজা জানায়,তার দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাত।
।নুরুলের নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। তার অন্যান্য ভাইদের সংসারের একই অবস্থা। কেউ কাউকে দেখার মতো স্বাবলম্বী নয়। গতকাল সরেজমিন বিকেল বেলায় রাফেজার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,একটিমাত্র দুচালা টিনের ঘরে বসবাস করছ।নেই কোন বাড়তি বসতঘর।রাফেজা সেহরি ও ইফতারের জন্য রান্না করছে লাউয়ের পাতা তরকারি এবং ডাল।
প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে রাফেজা বলেন, রোজার মধ্যে একদিনও মাছ-মাংস মেলাতে পারিনি। ওর বাবা(নুরুল ইসলাম বেঁচে থাকতে ছেলেমেয়েরা বায়না ধরলেও কিছু পূরন করতে পারতো,কিন্তু আমি মেয়ে মানুষ কাজ-কাম করতে পারিনা। রামখাঁ বাজারের সাথে অটো রাইস মিলে কিছুদিন কাজ করতাম এহন শরীর ভালো না থাকায় ঠিকমত কাজ পারি না। আমার দুই মেয়ে ও ১১বছর বয়সের প্রতিবন্ধী ছেলে আছে।রাফেজা জানায়,ঈদ আইলেও আমি তাগো(ছেলে-মেয়ে)কিছু দিতে পারি না।আমার খুব খারাপ লাগে যখন তাদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে না পারি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এইবার ঈদে বাজার-সদাই করবেন কিনা? রাফেজা কান্নাজড়িত কণ্ঠ জানায়,ঈদে আবার নতুন কি-আমার কাছে সবদিনই সমান।রাফেজার প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক আনিছুর রহমান জানায়,পরিবারটি একেবারে অসহায়।আমরা এলাকাবাসী নুরুল ইসলামের চিকিৎসা জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।
এবিষয়ে সখীপুর উপজেলা কালিয়া ইউনিয়নের ঘোনারচালা ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদরুল হাসান(বাদল) মিয়া জানান অসহায় নুরুল ইসলামের পরিবারের অসহায়ত্ব স্বীকার করেন।তিনি আরও জানান, আমি পরিষদের যখন যে সুবিধা তা দেওয়ার চেষ্টা করি।