টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী আসনের নবনির্বাচিত এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ৬ কর্মী সমর্থকদের গ্রেপ্তারে প্রতিবাদে থানার গেটের সামনে বসে অবস্থান নিয়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালণ করেন লতিফ সিদ্দিকী।
এসময় তার নেতাকর্মীরা টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখে । এতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় উত্তেজনার। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
পরে বিকেল ৩ টার দিকে কৃষক শ্রমীক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় পুলিশ ৪ নেতাকর্মীকে ছেড়ে দিলে নেতাকর্মীরা অবরোধ ও লতিফ সিদ্দিকী বসে থাকা অবস্থান তুলে নেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে থানার গেটের সামনে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বসে অবস্থান নেয়। এসময় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করে তাদের মুক্তির দাবী করেন।
পরে বিকেল ৩ টার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ভাই কৃষক শ্রমীক জনতা গীগের সভাপতি আব্দুল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এসময় কাদের সিদ্দিকী বলেন নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয় পক্ষের ভুল বুঝাবুঝি ছিল। পুলিশ ৪ জনকে ছেড়ে দিবে ও মামলার এজাহারভুক্ত ২ জনকে আদালতে পাঠানো হবে।
আটককৃতরা হলেন উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হামমত আলী, পিন্টু, হৃদয় ও খোকা নামের চার ট্রাক প্রতীকের সমর্থক। দু'জনের নামে এজহার থাকায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি কামরুল ফারুক বাদী ও গ্রেফতারকৃতদের নাম না বলে বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ ছিল বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কতিপয় লোক ভাংচুর করেছে আমরা মামলা নেই। আসামিদের গ্রেফতার করে বিধিমোতাবেক আদালতে পাঠানো হয়েছে।