শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

কালিহাতীতে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য শ্বশুর-শ্বাশুড়ি গ্রেফতার

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি  : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ফারিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাইয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় শ্বাশুড়ি ফাতেমা (৪৫) ও শ্বশুর আঃ রশিদকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে কালিহাতী থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূ উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর পুরাতন বাজার বিলপাড় এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে।
নিহতের চাচাত ভাই ইমরুল শেখ জানান, ছেলের বউ হিসেবে ফারিয়াকে তার শ্বাশুড়ি কখনও মেনে নিতে না পেরে নিয়মিতই নির্যাতন করতেন। বুধবার বিকালে ফারিয়া তার খালার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় আত্মহত্যার বিষয়টি বোঝা যায়নি। তবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তাকে মেরে ফেলবে বলে জানায়। সন্ধ্যার পর তার শ্বশুর ফোন করে জানায় ফারিয়া আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, দুই বছর আগে কালিহাতী উপজেলার রামপুর পুরাতন বাজার বিলপাড় এলাকার আঃ রশিদের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে বিয়ে হয় বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ফারিয়ার। গত কিছুদিন যাবত পুত্রবধূ ফারিয়ার সঙ্গে ঝগড়া চলছিল শ্বশুর-শ্বাশুড়ির। ১৭ ডিসেম্বর গত বুধবার দুপুরেও ঝগড়া হয় তাদের। বিকালে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেন শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। এসময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রেখে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহের জন্য হাসপাতালে যান শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। খবর পেয়ে এসময় নিহতের ভাইসহ পরিবারের লোকজনও আসেন হাসপাতালে। নিহতের পরিবারের পক্ষে ভাই রুমি রায়হানের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টু  চন্দ্র ঘোষ এ বিষয়ে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.