বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪

খেজুরের রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃ*ত্যু 

পাবনার ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খোকন মালিথা (৪২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮) দুপুরে পাবনার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত খোকন ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রতিরাজপুর গ্রামের রোস্তম আলী মালিথার ছেলে। রোস্তম আলী মালিথা ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে বাড়ির পাশের স্থানীয় একটি খেজুরের বাগান থেকে খেজুরের রস খেয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন খোকন। পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুৃধবার রাতে মারা যান খোকন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র নিহত ব্যক্তির আপন চাচা ইসহাক আলী মালিথা বলেন, খেজুরের রস খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে মারা গেছে। বিষয়টি খুবই দু:খজনক। আজকে দুপুর ১২টার দিকে জানাযা নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যুুতে ঈশ্বরদী পৌরসভাসহ সর্বস্তরের মানুষ শোকাহত।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খানম বলেন, তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি জানার পর তার বাড়িতে গিয়ে ও এলাকাবাসীসহ সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পাবনার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল টিমের রিপোর্ট ঢাকায় পাঠাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গতমাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে খেজুরের রস না খাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও খুজুরের রস না খাওয়ার জন্য মাইকিং, লিফলেটসহ সতর্ককরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারপরও কিভাবে তিনি রস খেয়েছেন সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.