বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

প্রেমিককে লাইভে রেখে কলেজছাত্রীর ‘আ*ত্ম*হ*ত্যা’

মানিকগঞ্জে প্রেমিককে মোবাইল ফোনে লাইভে রেখে এক কলেজছাত্রীর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বৈতরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত বিলকিস আক্তার (২৩) মেঘশিমুল গ্রামের সোহেল হোসেনের স্ত্রী।

সদর থানা পুলিশ মো. সুমন হোসেনের বাড়ি থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজপড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সিংজুরী ইউনিয়নের হাটকুড়িয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো. বাবু মিয়ার মেয়ে।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলকিসের জন্মের কয়েক বছর পরে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। প্রায় ১০ বছর ধরে বৈতরা গ্রামে সুমন হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিলকিস। ভাড়া বাড়ি থেকে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে প্রবাসে চলে যান বিলকিসের মা মনোয়ারা বেগম। বর্তমানে তিনি প্রবাসেই রয়েছেন।

বাড়ির মালিক মো. সুমন হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর আগে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয় বিলকিসের। তার মা বিদেশে থাকলেও ভাড়া বাসা ছাড়েননি। দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাড়া বাড়িতে ওঠেন বিলকিস। এখানে থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিলকিসের সঙ্গে স্বামী সোহেলের বেশ কিছুদিন ধরে নানান বিষয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। 

সূত্রমতে, ১০/১৫ দিন আগে বিলকিসের স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে নিতে আসলে সোহেলের সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিবাহবিচ্ছেদের কথাও বলেন। স্বামী সোহেলের পরিবারকে জানায় তার অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনও একসময়ে প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে লাইভে কথা বলছিল। তার আগে বিলকিস ঘরের সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রাখে। পুলিশ যখন তার লাশ উদ্ধার করতে যান তখন তার মোবাইল ফোনে ভিডিও কল চলছিল। স্থানীয়দের ধারণা, প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার পরে সে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের ফোনটিও জব্দ করা হয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.