সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

কালিহাতীতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি, হুমকিতে পরিবেশ

সাইদুর রহমান, টাংগাইল প্রতিনিধি :
 টাঙ্গাইলের কালিহাতী বীরবাসিন্দা ইউনিয়নে জোয়াইর গ্রামে অবৈধভাবে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। এ কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকার মানুষ কাশিসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।

কালিহাতী আউলিবাদ, জোয়াইর, বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য আকবর আলীর  পরিত্যক্ত রাইচ মিল প্রাঙ্গণে হামিদপুরের প্রভাবশালী বাবলু সাহা কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে গাছের গুঁড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। কারখানায় রয়েছে ৫টি চুল্লি। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ২০ শতাংশ জায়গাজুড়ে কয়লা তৈরির কারখানা। চারদিকে উঠতি আমন ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। ইট দিয়ে চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। চুল্লিতে গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। চুল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুঁড়ি ও শুকনা কাঠ-লাকড়ি। মোট ৫টি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে গেছে। চারপাশে বিভিন্ন আকারের গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে।
এক পাশ দিয়ে ছোট কয়লা বের করা হচ্ছে। অন্য পাশে সেই কয়লা শুকানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় বস্তায় ভর্তি করে রাখা হয়েছে। প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২৫০ থেকে ৩০০ মন কাঠ পোড়ানো হয়। 

কাঠ পুড়ে কয়লা হয়ে গেলে সেগুলো বের করে ঠান্ডা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সচেতন মহল বলছেন, এ এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে চুল্লি মালিক বাবলু সাহা বলেন, কয়লা তৈরি জন্য চুল্লির অনুমতি প্রশাসন দেয় না। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাহেদুর রহমান বলেন, কয়লা তৈরিতে এসব চুলায় কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেখানে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে শিশুসহ বয়স্করাও শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সংক্রমণজনিত সমস্যার সম্মুখীন হবে।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.