শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্বা!

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ষষ্ঠশ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে মামলা করায় ভুক্তভোগীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম (৪৮) উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের আগচারান গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে।

মামলার বিবারণে জানা যায়, অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সুবাদে স্কুলছাত্রীকে মাঝে মধ্যে সাংসারিক কাজের জন্য ডেকে নিয়ে আসতো নজরুল ইসলাম। সুযোগ বুঝে একদিন স্কুলছাত্রীকে ঝাপড়িয়ে ধরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নজরুল। পরে ধর্ষণের কথা বাড়িতে বা অন্য কাউকে বললে স্কুলছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে ভয় দেখিয়ে কয়েক-দফায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে নজরুল ইসলাম। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর শরীরের বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটলে চাপ দেয় তার পরিবার। একপর্যায়ে ধর্ষণের ঘটনা ওই স্কুলছাত্রী খুলে বলে তার পরিবারের কাছে। পরিবার মেডিক্যাল রির্পোটের মাধ্যমে জানতে পারে তাদের মেয়ে ওই স্কুলছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা কালিহাতী থানায় গিয়ে নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমরা গরিব হওয়ায় এবং অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলা করায় আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় চরম নিরাপত্তহীতায় ভুগছি। এছাড়াও কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, এই অনাগত সন্তানের পরিচয় দিব কিা? দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার পুর্বক বিচারের দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মামলার পর ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.