বাংলাদেশ
স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী রিমান্ডে
অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, অনৈতিক কাজে বাধ্য করাসহ নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা জেলা উত্তর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক মেহনাজ তাবাসসুম মিশুকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতে চায় মিশু। এতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক নেশাদ্রব্য খাওয়ায় তিনি। এখনেই শেষ নয়, মিশু নিজে ওই শিক্ষার্থীকে পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এতে সহযোগিতা করে তার স্বামী ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন সহযোগী।
স্থানীয়রা ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ওই ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশুকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিশুকে গ্রেপ্তার করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।এদিকে, শনিবার রাতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক মেহেনাজ তাবাসসুম মিশুকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।