Breaking News

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে অনশনে স্কুলছাত্রী! পালিয়েছে প্রেমিক আল আমিন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে প্রেমিক আল-আমিনের (২২) বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক স্কুলছাত্রী।

রোববার (২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই স্কুলছাত্রী। অনশনের খবর পেয়ে আল-আমিনসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিক আল-আমিন একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে এবং ওই তরুণী পার্শ্ববর্তী রাউৎবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন।
সোমবার দুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত তরুণী বলেন, মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময়ে আল-আমিন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে প্রতিবেশী এক ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দেয়। বিয়ের পরেও আল আমিন বিরক্ত করত। একপর্যায়ে আল-আমিনের প্রেমের ফাঁদে পা দেই। ওই সময় থেকে স্বামী বাড়ি না থাকায় আল-আমিন আমার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করে। মেলামেশার ভিডিও করে রাখে। কাউকে জানালে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের কাছে বলে দেওয়ার হুমকি দেয়। মেলামেশার ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া ও পরিবারকে জানানোর কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক মেলামেশা করে আসছিল।

তরুণী বলেন, সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে আল-আমিন রাতে তার কর্মস্থল জামালপুর নিয়ে যায়। পরে শেরপুর নিয়ে আসে এবং সেখানে একটি নির্জন বাসায় চার দিন আটকে রেখে শারীরিক মেলামেশা করে। বিয়ের কথা বলে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে চলে যায়। 

তারপর আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমাদের বাড়িতে লোক পাঠাবে বলে জানায়। কিন্তু সে লোক না পাঠালে আমাদের বাড়ির লোকজন তার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। কয়েক দিন আগে জানতে পারি সে বিয়ে করছে। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।

স্থানীয়রা জানান, আল-আমিন ছেলেটি বখাটে। দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জেনেছি। রোববার থেকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আল-আমিনের বাড়িতে অনশন করে আসছে। কিন্তু বাড়ির লোকজন সবাই পালিয়েছেন।

বাড়িতে আল-আমিনসহ তার পরিবারের লোকজন কেউ না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ফোনেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটি কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Type and hit Enter to search

Close