শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

সখীপুরে স্কুল কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ! এলাকাবাসীর ক্ষোভ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগপ্রার্থী ও এলাকাবাসী। 

উপজেলার কীর্ত্তনখোলা গজারিয়া কালিয়ানপাড়া (কে.জি.কে) উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে নিয়োগপ্রার্থী ও এলাকাবাসী গত ২৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। এতে উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, কীর্ত্তনখোলা গ্রামের ইছুব আলীর ছেলে মাছুম আহম্মেদ এবং একই এলাকার আছির উদ্দিনের মেয়ে ইমরুন্নাহার ইমুসহ ছয়জন  আবেদন করেন। 

অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: হাফিজ উদ্দিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইমরুন্নাহার ইমুকে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে  অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিমকে ডিজির প্রতিনিধি  হিসেবে মনোনয়ন দিলেও বিদ্যালয়ের সভাপতি আর্থিক ফায়দা লুটতে টাঙ্গাইলের সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন আনেন। এতে এলাকাবাসীর ও নিয়োগ প্রার্থীদের মনে সন্দেহ তৈরি হয় 

 নিয়োগপ্রার্থী মাসুম আহমেদ  জানান, এলাকার সবাই জানে বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে ডিজির প্রতিনিধি পরিবর্তন করেছেন।পরিবর্তন করার কারণে আমাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। আমরা এর যথাযথ বিচার দাবি করছি এবং অনতিবিলম্বে এই পরীক্ষাটি স্থগিতের দাবি জানাচ্ছি। 

নিয়োগপ্রার্থী  সুমাইয়া আক্তার বলেন, ডিজির প্রতিনিধি বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো আব্দুল করিমের প্রতি আমাদের সকলে আস্থা ছিল।কিন্তু তাকে পরিবর্তন করায় আমরা হতাশ। আমরা চাই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে স্বচ্ছ একটি নিয়োগ। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর বেল্লাল হোসেন জানান, গত ২৫ তারিখ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি পরিবর্তন হওয়ায় তা ১ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিজির প্রতিনিধি পরিবর্তন বিষয়ে প্রশ্ন করলে  তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ডিজির প্রতিনিধি কে পরিবর্তন করেছে তা আমার জানা নেই। 

সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো ঝিল্লুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য দুই দিন যাবৎ ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।


সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন,  বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি।পরীক্ষায় যাতে কোন ধরনের অনিয়ম না হয়  সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.