Breaking News

গোপালপুর থানা চত্বরে বাহারি ফুলের চাষ

আহমেদ সাজু( গোপালপুর) টাঙ্গাইল 
অনেকটা শখের বশে বাহারি ফুলের চাষ করে সাজিয়েছেন থানা চত্বর গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন। 

 বৃহস্পতিবার(১৬মার্চ)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানা চত্বরের পতিত জমি প্রস্তুত করে  বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ ফুলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন মানবিক অফিসার। 

প্রতিনিয়ত বাগানের তদারকির জন্য তত্ত্বাবধায়ক বলেন, স্যারের এমন উদ্যোগের এ খবর  উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চাউর হলে দৈনিক শত শত লোক বাগান দেখার জন্য ছুটে আসে।থানায় সেবা প্রত্যাশী আগত দর্শনার্থীরা খুব আনন্দ চিত্তে নির্মল পরিবেশ উপভোগ করে।নিয়মিত বাগানের পরিচর্যাসহ এখানে যারা দেখভালের দায়িত্বে আছে, তারা খুব যত্নসহকারে দেখাশুনা করে।

গোপালপুর উপজেলা চেয়রাম্যান আসাদুজ্জামান সোহেল বলেন, এমন মানবিক ওসি পেয়ে আমরা গর্বিত। তিনি আসার পর থেকে থানায় সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ কাছে অতি অল্প সময়ে প্রিয় হয়ে ওঠেছে।আমরা গোপালপুর উপজেলার মানুষ তার আচরণে অভিভূত হয়ে সকল কাজে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

এবিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ময়মনসিংহ বিভাগের কৃতি সন্তান  মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে,তাই কৃষি থেকেই বেড়ে ওঠা।আমি চেষ্টা করি কৃষি ব্যবস্থাপনা লালন করতে, তার অংশ হিসেবে ফুলের বাগানসহ থানার পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছি।এ কাজে আমার সহধর্মিণী সরকারি কুমুদিনী কলেজের অধ্যাপক সেলিনা আক্তার নিয়মিত অর্পিত দায়িত্ব পালন ও  মানবিক অফিসার হওয়ার জন্য  উৎসাহ দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, নিজ গ্রামে ভবিষ্যতে এ কাজের পরিধি বাড়িয়ে সবুজ মাঠ উপহার দিব।

উল্লেখ্য,টাঙ্গাইলে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সারা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এই মানবিক অফিসার।  কন্যা সন্তান
প্রসবের খবর শুনলেই ফুলের তোড়াসহ নানা ধরনের উপহার নিয়ে ছুটে যান প্রসূতি মায়ের কাছে। এখবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে, বিনিময়ে সম্মাননাসহ পুলিশি পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Type and hit Enter to search

Close