বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের লক্ষ্যে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তি দিতে হবে

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক  মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ১৬ই মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কার্যক্রম হিসেবে এসএসসি মডেল টেস্ট পরীক্ষায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রে হিন্দু ধর্মের প্রশ্ন তৈরিতে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্বাধীন হয়েছে। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কাজ চরম নিন্দনীয়। 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় এসএসসির মডেল টেস্টে ইসলাম ধর্মের পরীক্ষায় হিন্দু ধর্মের প্রশ্ন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

গত ১৩ মার্চ(সোমবার) সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের বাগবাড়ি চৌবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে এর প্রতিবাদ করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শুভান্যুধায়ীরা এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি দাবি করেছে।
প্রশ্নপত্র কাণ্ডে পরীক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার (১৩ মার্চ) ছিল তাদের ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা। কেন্দ্রে প্রশ্ন পাওয়ার পর তারা দেখতে পায় ইসলাম ধর্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিন্দু ধর্মের প্রশ্ন। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে বিতরণের আগে শিক্ষকরা কেন তা যাচাই করলেন না- এমন প্রশ্ন তুলেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবকরা আরও জানান, এটি (ইসলাম ধর্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিন্দু ধর্মের প্রশ্ন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন বলে তার শাস্তি দাবি করছেন।

ইসলাম ধর্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিন্দু ধর্মের প্রশ্ন থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, রাজধানী ঢাকার প্রশ্নঘর থেকে ২৫ টাকা দরে প্রতি সেট প্রশ্নপত্র কেনা হয়েছে। অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্ন ঠিক থাকলেও ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রে এমন ভুল হয়েছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন,  আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে দোষীদের তদন্তপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.