
আহমেদ সাজু (সখীপুর)টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নে হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
শনিবার (১১ফেব্রুয়ারি)বিকেল ৩টার দিকে স্কুল মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন অংশের নেতারা মিছিলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগ দিলে সমাবেশস্থল মাঠ পূর্ণ হয়ে জনতার ঢল সড়ক পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জীবন্ত কিংবদন্তি তার বক্তৃতার প্রারম্ভে রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু বড়ভাই সাবেক পাট ও বস্র মণ্রী(আ.লীগ) আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি মমত্ববোধই, তারুণ্য শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে দেশ মাতৃকার টানে পাকিস্তানি হানাদারের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।আমার চিন্তা চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি।আমি কোন এমপি-মণ্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। আমি কর্ম দিয়ে জনতার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। কাদের সিদ্দিকী বলেন, দলের সুদিন আসলে অনেকেই ফায়দা নেওয়ার যায়গা খুঁজবে,কিন্তু আমি বলে রাখি ত্যাগীদের মূল্যায়ন সবসময়।
তিনি ত্যাগী নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, গলা টিপে সন্তান হত্যার রাজনীতি করি না। উপস্থিত জনতার মাঝে প্রশ্ন ছেড়ে দেন,আপনারা কি দেশটা পাকিস্তান বানাতে চান?বিরোধী দলের এক নেতার কথায় আক্ষেপ করে বলেন,দেশ হঠাৎ করে হয়নি।আপনি জানেন কত মানুষের প্রান গেছে?সরকার দলের সমালোচনা করে বলেন,দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বেগতি লাগাম টেনে ধরুন,দেশের মানুষকে স্বস্তি দিন। এখন দেশে মা-বোনদের সন্মান দেওয়া হয়না। সখীপুরের যারা এমপি হয়েছে তারা কেউ আটিয়া বন অধ্যাদেশ নিয়ে কথা বলেনি।আপনারা আমার সাথে থাকলে আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে। আমি হারাম খাইনা,আমি কাউকে ভয় পাই না, এক আল্লাহ ছাড়া।
এসময় জনসভায় দেলেয়ার হোসেন মাষ্টারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, শফিকুল ইসলাম, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, আব্দুল হালিম লাল সরকার (মুক্তিযোদ্ধা),এটি এম সালেক হিটলু,আলহাজ্ব আব্দুস সবুর প্রমূখ।