শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কালিহাতীতে প্রতিবন্ধী মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করায় দুইজন গ্রেপ্তার


সাইদুর রহমান সমীর,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া গ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণের পর পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে যৌন নিগ্রহে বাধ্য করার অভিযোগে পুলিশ আল আমিন ও শহিদুলসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানাগেছে, পাইকড়া ইউনিয়নের সিংহটিয়া গ্রামের পিতৃহীন কিশোরী (১৪) গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে প্রতিবেশি আলতাফ আলীর ছেলে আলআমিন (৩০) ও আজিজুলের ছেলে সিএনজি চালক শহিদুল (২৫) সহ ৪-৫ জন যুবক অপহরণ করে। পরদিন শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই কিশোরীর মা পাশের পৌজান বাজারের কাছে নয়া পাড়া এলাকায়  মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। 

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। জেনারেল হাসপাতালের একজন কনসালটেণ্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান আজাদ জানান, ওই কিশোরীর চিকিৎসায় তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যৌন নিগ্রহের ঘটনা হলেও হাত-পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তাকে হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল টিম দ্বায়িত্বের সঙ্গে অসহায় কিশোরীর চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। কালিহাতী থানা পুলিশ এসে কিশোরীর জবানবন্দি নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে এস আই সুমী সিকদার বলেন, মেয়েটি এখনো অসুস্থ তার জবানবন্দি অনুযায়ী আল আমিনকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকার  উক্তি নিয়ে শহিদুল (২৫) কে গ্রেফতা কারা হইয়াছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের  তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ওই কিশোরীর বড় বোন বাদি হয়ে অপহরণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। 
মামলাটি এসআই সুমী সিকদার তদন্ত করছেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওই কিশোরী ও তার মা-বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহিদুলকে  গ্রেপ্তার করা হইয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.