রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

গোল্ডেন গ্লাভস নিয়ে আর্জেন্টাইন গোলকিপারের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, বিতর্কে মার্টিনেজ

বিশ্বকাপের ফাইনাল জয়ের পর রাত পার হওয়ার আগেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। 

বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ে রাতে লিওনেল মেসির মঞ্চে টাইব্রেকারে পেনাল্টি রুখে নায়ক হয়ে যান মার্টিনেজ। তার গ্লাভসেই শেষ পর্যন্ত আটকে যায় ফ্রান্স। সেই মার্টিনেজই ম্যাচের পর অশ্লীল ভঙ্গি করে বিতর্কে জড়ালেন। যা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব ফুটবল।মার্টিনেজের কারণেই কিন্তু আর্জেন্তিনা ফাইনালে উঠতে পেরেছিল। তার দুরন্ত পারফরম্যান্স বারবার প্রতিহত করেছে বিপক্ষকে। 

কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতানোই হোক, বা দুরন্ত ছন্দে ফিল্ড গোল বাঁচানো- হিরোর ভূমিকা নিয়েছেন মার্টিনেজ। যার সুবাদেই তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হয়ে জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভসও। কিন্তু সেই গ্লাভস নিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করেই বিতর্কে জড়ালেন মার্টিনেজ।স্টেডিয়াম এবং টিভি মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষ দেখলেন, সেলিব্রেশনের নামে পুরস্কার পাওয়া গোল্ডেন গ্লাভস মার্টিনেজ তার গোপানাঙ্গে ঠেকিয়া অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। যা নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিষয়টি ভালো ভাবে নিতে পারেনি ফুটবল বিশ্ব। মার্টিনেজের এমন কুৎসিত কাজের জেরে তাকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে।
তবে লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মার্টিনেজ। তিনি এই সব বিতর্ক নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না। টাইব্রেকারে পেনাল্টি সেভ করার আসল রহস্যও তিনি উন্মোচন করেছেন। সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি পেনাল্টির সময় মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। ওরা ম্যাচে ৩টি শটে গোল করেছে। কিন্তু তার পরেও আমি নিজেকে ঠান্ডা রেখেছিলাম। জানতাম, শান্ত থাকতে পারলে ঠিক সেভ করে দেব।’এর সঙ্গেই মার্টিনেজ যোগ করেন, ‘আমি খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। এই জয় পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। পুরো পেনাল্টি শুটআউটে আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। এটাই আমার স্ট্র্যাটেজি ছিল।’

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.