
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ৫৫টি ইটের ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র ১২ টির। আর বাকি ৪৩ টি ভাটার নেই কোন লাইসেন্স ও ছাড়পত্র। বিষয়টি জানা গেছে ইটভাটা মালিক সমিতি ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু কিছু ইটভাটা গুলোর ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর বাকি ভাটা গুলিতে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। এসব ভাটায় মাটি দিয়ে কাঁচা ইট বানানোর কাজ চলছে। অনেক ইঁটের ভাটাতেই দেখা গেছে কাঠের স্তুপ এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের আনাগোনা তারা আসছেন, ভাটা মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে দরদাম ঠিক করতে।
আইন অনুযায়ী কৃষি জমি, আবাসিক এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তিগত বন, অভয়ারণ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ,বাগান বা জলাভূমিতে ইটভাটা স্থাপন না করার বিধান থাকলেও ,ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ,চানতাঁরা, ধলাপাড়া রসুলপুর ,মোগলপাড়া ,এলাকার ভাটা সহ অনেক ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে কৃষি জমি ও বন এলাকায় এবং আবাসিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায়। বন বিভাগের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপন না করার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে উপজেলার ধলাপাড়া পেচারাটা ,
রসুলপুর ,সরাবাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকায় বনের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরকম ১০ থেকে ১২ টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পেচারআটা নাঈম ব্রিকস ,সোহান ব্রিকস, বাংলা ব্রিকস, রুপসা ব্রিকস রয়েছে এবং রসুলপুরে রয়েছে ,সততা ব্রিকস ,যমুনা ব্রিকস ও সাগর ব্রিকস অন্যতম।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইটভাটা স্থাপনের বিধি-নিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে উপজেলার চানতারা গ্রামের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ-পাশেই গড়ে উঠেছে আটটি ইটভাটা। এর অন্যতম পদ্মা ব্রিকস্ ও মৌ ব্রিকস। এবং হরিপুর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মর্ডান ব্রিকস ও হেলনা পাড়া বিদ্যালয়ের সামনে এস আর ব্রিকস নামে দুটি ভাটা রয়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহজাহান সরকার বলেন,মালিকদের বললেও নানা ভোগান্তির কারণে তারা লাইসেন্স নিতে আগ্রহী হোন না