সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

নাগরিক টিভির সাংবাদিক হেনস্তা: পুলিশ সদস্য ক্লোজড

সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সাংবাদিকের বুম কেড়ে নিয়ে দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটান পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহিনুর রহমান। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, রোববার বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ বিষয়ে লাইভ সম্প্রচার করার সময় ডিএমপির প্ররক্ষা বিভাগের কনস্টেবল মো. শাহিনুর রহমান সাংবাদিকের বুম কেড়ে নিয়ে দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটান।

বিষয়টি ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করা হয়। তিনি কনস্টেবল মো. শাহিনুর রহমানের অপেশাদার আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন

ডিসি ফারুক হোসেন আরও বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল শাহিনুর রহমানকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। 

ভুক্তভোগী নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাইদ আরমান জানান, রোববার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংসদের ভেতরে এবং বাইরে থেকে দফায় দফায় লাইভ করে। তিনিও লাইভ করেন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।

ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে ডিআরইউর নেতারা বলেন, সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্বরত ছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা ন্যক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ শারমীন বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে আমাদের রিপোর্টারকে হেনস্তা করেছে। যা লাইভেই দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একজন কনস্টেবলের হাতে ওয়াকিটকি এলো কীভাবে। তার আচরণ ছিল উদ্দেশ্যমূলক। তার এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।

এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি হারুন অর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.