মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

টাঙ্গাইলে ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ দুই শতাধিক! মৃত্যু ১ জনের

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে শিশুসহ দুইশতাধিক গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে রাহেলা বেগম (৯৪) নামে এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মো.আশরাফুল আলম ।

মৃত রাহেলা বেগম দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত বিষা চৌধুরীর স্ত্রী।

এতে বুধবার(১৬ নভেম্বর) ভোরে এলাকা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় আক্কাস মিঞার বাড়িতে এক ওয়াজ মাহফিলে আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিল শেষে তোবারক হিসেবে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাবুর্চি আব্দুল গণির রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গজিয়াবাড়ী গ্রামের শিশুসহ দুুশতাধিক নারী পুরুষ। খবর পেয়ে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম গজিয়াবাড়ি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।এছাড়া স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে আক্রান্তদেন দ্রুত চিকিৎসকদের জন্য ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের বাড়িতে আসতে বলা হচ্ছে।

আলেয়া নামের এক নারী জানান, ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে তিনদিন ধরে গ্রামের শিশু, নারী-পুরুষ ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার ভোরে অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। অনেকেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে।আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক জানান, রবিবার রাতে খিচুড়ি খাওয়ার পর এখন পর্যন্ত গ্রামের শিশুসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাহেলা বেগম নামে গজিয়াবাড়ি গ্রামের এক বৃদ্ধার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

ডা: মো আশরাফুল আলম জানান, আক্রান্তদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেলদুয়ার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রাহেলা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.