INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

সখীপুরে মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে তরুণের মৃত্যু! পরিবারের দাবি হত্যা

সখীপুরে মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে তরুণের মৃত্যু! পরিবারের দাবি হত্যা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাত ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আফতাব মিলন (২২) নামের ওই তরুণের মৃত্যু হয়।

মিলন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমতাজ আলীর ছেলে। 

এদিকে তাঁর মা অভিযোগ করেছেন, মিলনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই মিলনকে উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামে অবস্থিত সখীপুর মাদকাসক্তি পরামর্শ ও চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করেন তাঁর মা কল্পনা বেগম। 

গত রোববার রাতে হঠাৎ মিলনের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই কেন্দ্রের লোকজন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাঁরা মরদেহটি নিয়ে গেছে।

কল্পনা বেগম সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি আমার ছেলেকে দেখতে এসেছিলাম। তখন ছেলে আমাকে বলেছিল, এখানে নির্যাতন করা হয়। আমার ছেলে সুস্থ ছিল। আমার ধারণা, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি কাল আদালতে গিয়ে মামলা করব।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সখীপুর মাদকাসক্তি পরামর্শ ও চিকিৎসাকেন্দ্রের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খান বলেন, ছেলেটি অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। 

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর অভিভাবকদেরও মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। তাঁকে শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
নিরাময়কেন্দ্রের লাইসেন্স আছে কি না, জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে। চিকিৎসক নেই, তবে প্রয়োজন হলে চিকিৎসক ডাকা হয়।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়েছে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।