শনিবার বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটক আব্দুল হাই ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের নরিল্যা গ্রামের মৃত আবু হানিফ ওরফে হানির ছেলে।
আব্দুল হাই ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলমান এসএসকে (স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প) প্রকল্পের একজন কর্মচারি। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত।অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কাছের মানুষ বলে স্বজনসহ অন্যদের কাছে হাসপাতালের কর্মকর্তা পরিচয়ে তিনি অভ্যস্ত।
কয়েক দিন আগে একই উপজেলার পাশের ইউনিয়নের এক নারী রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসাকালীন তার সাথে থাকা এক তরুণী(১৯) স্বজন আবদুল হাইয়ের নজরে আসে। নিজের পরিচয় গোপন রেখে ফাঁদে ফেলে নানা প্রলোভনে ওই তরুণীর সাথে ভাব জমিয়ে প্রেমের জাল ফেলেন তিনি। পরে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করেন। প্রতারিত ও ধর্ষিত ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল এলাকা থেকে আব্দুল হাইকে আটক করে।
আটক হওয়ার পর থেকে বিষয়টি ভিন্ন খাতে চালিয়ে দিয়ে ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীদের চেষ্টা চলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা এমন ঘটনার অভিযোগে আব্দুল হাইয়ের আটক হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, মামলা অনুযায়ী তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিললে অপরাধীর যথোপযুক্ত শাস্তি হবে এর বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কোন ব্যক্তির এমন অপরাধে জড়িত থাকার খবরে তারা বিব্রত বলেও জানিয়েছেন।
ধনবাড়ী থানার ওসি( তদন্ত) ইদ্রিস হোসাইন ধর্ষণ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ধনবাড়ী হাসপাতালের প্রকল্পে কর্মরত আব্দুল হাইয়ের আটক হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মিদের জানান, আটক আব্দুল হাইকে আদালতে ও ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Social Footer