Breaking News

আবারও বায়ুদূষণে বিশ্বে ঢাকা দ্বিতীয়

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দূষণ কিছুটা কম হলেও বায়ুদূষণে আবারও বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে ঢাকা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাইবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংস্থাটির তথ্যমতে ঢাকার দূষণের মান ১৫৩, এদিকে বায়ুদূষণে প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার মাত্রা ১৬১। তৃতীয় অবস্থানে আছে দুবাই, একিউআই সূচক ১৫২।

সাধারণত ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ বলা হয়। তবে কিছু মানুষের জন্য এটাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও বিবেচিত হয়। বিশেষ করে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, “সারা বছরে মাত্র ১৫ ভাগ বায়ুদূষণ হয় ( জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর)। এখন মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। তবে আগের কয়েক দিনের তুলনায় এখন বৃষ্টি কম হওয়ায় বায়ুদূষণ আবারও বাড়ছে। কেননা দূষণের জন্য দায়ী যেমন যানবাহন চলাচল, শিল্প কারখানার দূষণ, ইটভাটা, নির্মাণকাজ কিছুই কিন্তু থেমে নেই।”

ড. কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছে ঠিকই। কিন্ত তা অপ্রতুল। দূষণ কমাতে হলে আরও বেশি অভিযানের প্রয়োজন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ -কে ঢাকায় দূষণের জন্য বেশি দায়ী করা হয়।

ক্ষতিকর ছয় ধরনের পদার্থের মধ্যে প্রথমেই আছে পিএম (পার্টিকুলেটেড ম্যাটার) ২.৫ অথবা ২ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রাম সাইজের ক্ষুদ্র কণা। এরপর পিএম-১০ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বাকি চারটির মধ্যে আছে—সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড ও সিসা। এই ছয় পদার্থ ও গ্যাসের ভগ্নাংশ গড় করেই বায়ুর সূচক নির্ধারণ করা হয়। সেই সূচককে বলা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।

Type and hit Enter to search

Close