বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

টাঙ্গাইলে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালিয়েছে স্ত্রী

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন স্ত্রী জাকিয়া (২৬)।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ক‌রে উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চি‌কিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠায়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপ‌জেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবা‌ড়ী গ্রা‌মে এই ঘটনা ঘ‌টে।

ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ (২৯) সে স্থানীয় শাহজাহানের ছে‌লে এবং জাকিয়া পাশ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।

প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ৬-৭ বছরের একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনের মধ্যেই প্রায়ই এক অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতো। 

এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি হয়। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই জাকিয়া পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ফি‌রোজ জানায়, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে লিঙ্গ কেটে ফেলে। পরে ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিরা এসে উদ্ধার করে এরআগে শিশু সন্তান রেখেই স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। 

ফি‌রো‌জের মামা আরজু জানান, ‌বি‌য়ের পর থে‌কে স্বামী ও স্ত্রীর ম‌ধ্যে পা‌রিবা‌রিক কলহ চল‌ছিল। ভোরে ঘুমা‌নো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কে‌টে ফে‌লে তার স্ত্রী। প‌রে পা‌শের লোকজন খবর পে‌য়ে তা‌কে উদ্ধার ক‌রে হাসপাতা‌লে নি‌য়ে আসে। তার স্ত্রী বা‌ড়ি থে‌কে পা‌লি‌য়ে‌ছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন- বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।

তিনি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দরবার-সালিশ করা হয়েছে। 

উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকা‌রী মে‌ডি‌কেল অ‌ফিসার কাজল তালুকদার ব‌লেন, লি‌ঙ্গের পু‌রো অংশ কে‌টে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হ‌য়। উন্নত চি‌কিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনা‌টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোন অ‌ভি‌যোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.