সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কালিহাতীতে নিখোঁজের ১৭ দিন পর প্রবাস ফেরত যুবকের লাশ উদ্ধার

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিখোঁজের ১৭ দিন পর হাত বাঁধা দাবানো অবস্থায় বিল থেকে প্রবাস ফেরত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পারখী ইউনিয়নের বগা বিল থেকে মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই যুবক পারখী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের হানিফা ওরফে কিসলুর ছেলে মুকুল (২৫)।

স্থানীয় সেচ পাম্প চালক চাঁন মামুদ জানান, ১৬-১৭ দিন পর ফজরের নামাজ পড়ে বেলা ওঠার পর মেশিন (সেচ পাম্প) চালানোর জন্য বগা বিলে যাই। পরে মেশিন চালু করে যে ক্ষেতে লাশ ঐ ক্ষেত শুকনো দেখে পানির নাল দেই। এসময় ক্ষেতের পাশে নেট দেখি পাড়ানো। সেই নেট ঠিক করতে গিয়ে একটি বলের মতো দেখতে পাই। পরে কাছে গিয়ে দেখি মাথার খুলি ও মানুষের হাত বাঁধা। এইটা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে এক কামলা (শ্রমিক) আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।

নিহত মুকুলের শশুড় জানান, গত তিন- চার মাস আগে সে সৌদি যায়। পরে সেখানে এক মাস থেকে বিগত দুই থেকে আড়াই মাস যাবৎ দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে মুকুলের বাবা-ভাই বাড়িতে জায়গা না দেওয়ায় আমি একটি দোকান নিয়ে দেওয়ার কথা বললে মেয়েকে নিয়ে আমার বাড়ি সখিপুর উপজেলার (খুইংগারচালা) আসে। 

তিনি আরও জানান, মুকুল ভালোভাবেই দোকান করতে ছিল। হঠাৎ গত ১৭ দিন আগে অসময়ে দোকান বন্ধ দেখে তাকে ফোন করলে সে জানায় কালিহাতী গেছে। ফিরতে পরের দিন সকাল হবে। সেই সময় থেকে আর বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজির একপার্যায়ে না পাওয়ায় সখিপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। পরে আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) ফোনে পারখীতে একজনের লাশ পাওয়া গেছে এরকম খবর পেয়ে এসে দেখি আমার মেয়ের জামাইয়ের লাশ। প্রথমে পুরো শরীরে কাঁদা ও দাবোনা থাকায় চিনতে পারিনি। পরে পড়নের কাপড়-চোপড় দেখে চিনতে পারি। 
তিনি জানান, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি চাই।

এবিষয়ে কালিহাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান শেখ জানান, পারখী ইউনিয়নের বগা বিল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় মাটি খুঁড়ে দাবানো অবস্থায় মুকুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.