মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

এলেঙ্গায় অভিযানের ১২ ঘন্টা যেতে না যেতেই আবারও বালু বিক্রি শুরু

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি  : গতকাল বিকালে কালিহাতী উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।

অভিযানের ১২ ঘন্টা পার হতে না হতেই আবার বালু বিক্রি শুরু হয়েছে।

গতকাল ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুইটি বাল্কহেডের মালামাল জব্দ করে কালিহাতি উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়,টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভাধীন এলেংজানী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন কৃত বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে।

এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪লেন এর কাজ চলমান রয়েছে সেখানেই মাটির এমনিতেই স্বল্পতা রয়েছে তারপরেও এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি লাখ লাখ ফিট মাটির চুপ করে রেখে বিক্রির করছে |

স্থানীয়রা জানায়, কালিহাতী উপজেলার ধলা টেংগর প্রকাশ খালেপাড়া গ্রামের অসিম উদ্দিন , লেবু মিয়া, কালিহাতী উপজেলার  কয়েকজন নামধারী সাংবাদিক সহ বালু খেকোরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় নদীর দু’পাড়ে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।

দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন পূর্বক স্তুপ করে বিক্রির করে দেদারছে এ অবৈধ বসা পরিচালনা করছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক ব্যক্তি জানায়, বাল্কহেড দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে তাদের বসতবাড়িগুলো বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

তাদের অভিযোগ, সকল বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গা পৌর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ বাল্কহেড দীর্ঘদিন যাবৎ চালাচ্ছে।বালু বিক্রির ফলে জনসাধারণের রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে |

সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ বাল্কহেট মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি ২০১০ সালের বালু মহাল আইনে বলা হয়েছে, ‘বিপননের উদ্দেশে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু-মাটি উত্তোলন করা যাবে না’।

কিন্তু এ নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করেছে বালু ব্যবসায়ীরা গংরা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে, অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা বার বার জানালেও তা বন্ধ হয়নি।

শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে ওই সময় বা দু’-একদিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয় এবং সুযোগ বুঝে তা পুনরায় চালু করা হয়।

স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন মহাসড়কে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে ওই জায়গাতেই বালির স্বল্পতা রয়েছে এভাবে যদি বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করা হয় নদীর পাড়ের ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই প্রশাসনকে বলবো উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করে ওকসনের মাধ্যমে বিক্রি করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসাইন বলেন, গতকাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

আবারও যদি বালু বিক্রি শুরু করে থাকে, আবারও যদি তারা বিক্রি শুরু করে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.