সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ৫ দশকের বাংলাদেশে এসবের কিছুই পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় নি। ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামী অনুশাসন-ই কার্যকর পন্থা।
২৬ রমজান ১৪৪৩ (২৭ এপ্রিল ২০২২) বৃহস্পতিবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঘাটাইল থানা(পশ্চিম) শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঢাকা বিভাগীয় সদর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা রেজাউল করিম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল সব ধরনের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। অথচ সমাজের সর্বত্রই বৈষম্য প্রত্যক্ষ করছি। বৈষম্য দূরীভূত করে ইনসাফপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
থানা সভাপতি মুহাম্মাদ সুলাইমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপ-সম্পাদক মুহাম্মাদ আল-আমিন।
বিশেষ অতিথি বলেন, প্রায় ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরিধান করতে বাঁধা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের জায়গা তুলে দেয়া হয়েছে। অসাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে কিছু মুসলিম নামধারী ব্যক্তিরা বারবার ইসলামকে কটাক্ষ করে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। দেশে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা মেনে নেয়া হবে না। এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা ধর্মবিদ্বেষীদের ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।
আর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, মাহে রমজান তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন, ইবাদত বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভরা মৌসুম। কুরআন নাযিলের এ মাস মুমিনের জন্য চেতনার উৎস। তাকওয়া-তাহারাতের শিক্ষা এ মাস থেকেই ঈমানদারগণ সঞ্চয় করে। কুরআন নাযিলের এ মাসে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।