বৃহস্পতিবার সকালে এলেঙ্গা পৌরসভার হাকিমপুরে এলেংজানী নদীপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, এলেংজানী নদীতে সরকারি খনন প্রকল্পের নিয়ম ভঙ্গ করে বাংলা ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে নদী তীরবর্তী জমি মালিকদের ধাওয়া করে মাটি ব্যবসায়ী এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল আজিজ, তাঁর ছেলে জয়, জাহাঙ্গীর, মাসুদ, দেলোয়ার ও তাদের লোকজন। এতে এলাকাবাসী পুনঃরায় একত্রিত হয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর পারিবারিক কাজে এলেঙ্গা আসার পথে কলেজমোড়ে হাকিমপুর গ্রামের জমি মালিক ফরজ আলীর উপর বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, মাসুদ ও ইসরাফিলের ভাই তাদের লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা করে বলে স্থানীয় দোকান মালিকরা জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি খনন প্রকল্পের যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিটিএসএল-এটি নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে কয়েকধাপে সাব ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে। যারা নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে নদী খনন করে আসছিলো। কিন্তুু সরকারি বিধি অনুযায়ী সাকসান ড্রেজার ব্যবহার করে নদী খনন করার নিয়ম।
জমির মালিক হাকিমপুর ও চরভাবলা গ্রামের মো. আজাহার, ওয়াজেদ, হাফিজ উদ্দিন, আব্দুস সালাম, মীল হক, আবু বকর, আলমগীর ও হানিফ বলেন, প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা নদী খননের নামে জোর পূর্বক আমাদের ফসলি জমির মাটি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমাদের মারধর করে।
আহত ফরজ আলী জানান, বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করলে সকালে সংঘর্ষ হয়। দুপুরে এলেঙ্গা গেলে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে তারা। এ বিষয়ে আগামীকাল আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল আজিজ ফোনে কোন কথা বলবে না জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাশ্বের আলমের সাথে মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।